ত্বকের যত্নে স্যালিসাইলিক অ্যাসিড এর ব্যবহার ও সর্তকতা।
বর্তমানে বিশ্বব্যাপী একনে প্রোন স্কিন কেয়ার রুটিনে একটি ইনগ্ৰিডিয়েন্ট খুবই কার্যকরী বলে জানান বিশেষজ্ঞরা, এটি হলো স্যালিসাইলিক অ্যাসিড। সাধারণত তৈলাক্ত ত্বকে ব্রনের সমস্যা বেশি হয়।
ব্রণ ব্যক্তির সৌন্দর্যহানির কারণ। ব্রণ দূর করার নানাবিধ প্রক্রিয়া আছে। এর মধ্যে স্যালিসাইলিক অ্যাসিড সমৃদ্ধ ক্রিম ,সানস্ক্রিন, ফেসওয়াস, লোশন ব্যবহার করলে ত্বকের ব্রনের সমস্যা দূর হবে।
ব্রণের বিরুদ্ধে স্যালিসাইলিক অ্যাসিড খুবই কার্যকর । আজকে আমরা জানবো স্যালিসাইলিক এসিড সম্পর্কে।
স্যালিসাইলিক অ্যাসিড কি?
স্যালিসাইলিক অ্যাসিড একটি বিটা হাইড্রোক্সি অ্যাসিড। স্যালিসাইলিক অ্যাসিড ত্বককে এক্সফলিয়েট করে। বিটা হাইড্রক্সি এসিড তেলের সাথে দ্রবনীয়, তাই এটা স্কিনের ভিতরে পোরসে দ্রুত প্রবেশ করে আটকানো পোরসকে খুলে দেয়।
স্যালিসাইলিক অ্যাসিড আমাদের ত্বকের গভীরে গিয়ে ব্রনকে টার্গেট করে, ব্রনকে শুকিয়ে ফেলে। স্যালিসাইলিক অ্যাসিডে আছে আন্টি ইনফ্লেমেটরি গুণাগুণ ফলে খুব দ্রুত ত্বকের ব্রণ , রেডনেস কমিয়ে ফেলে।
স্যালিসাইলিক অ্যাসিড কেন ব্যবহার করব?
যাদের ত্বক অয়েলি , একনি প্রবণ, পোরসের সমস্যা তাদের জন্য স্যালিসাইলিক অ্যাসিড সমৃদ্ধ ফেসওয়াস ,ক্রিম ব্যবহার করলে একনি সমস্যা সমাধান হবে।
স্যালিসাইলিক অ্যাসিড ব্যবহারের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া রয়েছে। শুষ্ক ত্বকে স্যালিসাইলিক অ্যাসিড ব্যবহার করলে ত্বক আরো শুষ্ক হয়ে যাবে। তাই অয়েলি বা কম্বাইন্ড স্কিনে স্যালিসাইলিক অ্যাসিড সমৃদ্ধ ক্রিম,ফেসওয়াশ ব্যবহার করা যায়। কারণ স্যালিসাইলিক অ্যাসিড ত্বকের ব্রণ কমায় পাশাপাশি ত্বকের অয়েল কন্ট্রোল করে, ডেড সেলস দূর করে ।
স্যালিসাইলিক অ্যাসিড ত্বকের যেসব উপকারে আসে-
১. ব্রণ দূর করে:
স্যালিসাইলিক অ্যাসিড ত্বকের পোরস পরিষ্কার করে ফলে ত্বক পরিষ্কার থাকে, তাই ব্রণ উঠে না। এছাড়াও এটি ত্বকের গভীরে গিয়ে ব্রণ শুকিয়ে ফেলে। ব্রণ তৈরিতে বাধা দেয়। ত্বকের অয়েল কন্ট্রোল করে, ত্বকে ব্রণ হওয়া থেকে বাধা দেয়।
২. ত্বক এক্সফলিয়েট করে:
বাইরের ধুলোবালি এবং মেকআপ ত্বকের পোরসে ক্লগ হয়ে যায়। স্যালিসাইলিক অ্যাসিড ত্বকের পোরসকে আনক্লগ করে। স্যালিসাইলিক অ্যাসিড ত্বকে জমে থাকা ডেড সেলস, মরা চামড়া রিমুভ করে ত্বককে সফট এবং মসৃণ করে।
৩. ব্ল্যাকহেডস, হোয়াইটহেডস রিমুভ করে:
আমাদের ত্বকের তৈলাক্ত এরিয়া থুতনি, নাক এবং গলায় ব্ল্যাকহেডস এবং হোয়াইটহেডস এর সমস্যা দেখা যায়। স্যালিসাইলিক এসিড ব্যবহারে ব্ল্যাকহেডস এবং হোয়াইটহেডস এর প্রবলেম সমাধান হয়। কারণ স্যালিসাইলিক অ্যাসিড ত্বকের অয়েল কন্ট্রোল করে, অর্থাৎ ত্বক অয়েলি হতে দেয় না ফলে ত্বকের এসব সমস্যা কমে যায়।
স্যালিসাইলিক অ্যাসিড ব্যবহারে সর্তকতা-
ড্রাই স্কিনে স্যালিসাইলিক অ্যাসিড ব্যবহার করলে ত্বকে লাল ভাব হয় এবং ত্বক অতিরিক্ত শুষ্ক হয়ে যায়। তাই ড্রাই স্কিনে স্যালিসাইলিক এসিড সমৃদ্ধ বিউটি প্রোডাক্ট ব্যবহার না করাই ভালো।
অয়েলি, কম্বাইন্ড , একনি প্রোন স্কিনে স্যালিসাইলিক অ্যাসিড সমৃদ্ধ ক্রিম, লোশন, ফেসওয়াস, সানস্ক্রিন ব্যবহার করলে ভালো ফলাফল পাওয়া যায়।
গর্ভবতী এবং মেডিকেশন অবস্থায় স্যালিসাইলিক অ্যাসিড ব্যবহার থেকে বিরত থাকতে হবে। এক্ষেত্রে চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ বা ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী পদক্ষেপ নিতে হবে।
স্যালিসাইলিক অ্যাসিড ব্যবহারের পূর্বে যে সব বিষয় মাথায় রাখতে হবে-
- টিনেজ বয়সের পর এটা ব্যবহার করতে হবে।
- স্যালিসাইলিক সমৃদ্ধ প্রোডাক্ট ব্যবহারের পর অবশ্যই সানস্ক্রিম ব্যবহার করতে হবে।
- স্কিন টাইপ অনুযায়ী ক্রিম এবং ক্লিনজার ব্যবহার করতে হবে।
সাধারণত ০.৫ – ২% মাত্রায় স্যালিসাইলিক অ্যাসিড সমৃদ্ধ বিউটি প্রোডাক্ট ব্যবহার করা সেইফ। তাই প্রোডাক্ট ব্যবহারের পূর্বে এর মাত্রা সম্পর্কে জেনে নিবেন।
Right And Helpful Description For Everyone ✌️