হেয়ার সিরাম। চুলের যত্নে হেয়ার সিরাম ব্যবহারের নিয়ম।
হেয়ার সিরাম হল সিলিকন ভিত্তিক তরল যা আপনার চুলে প্রতিরক্ষা মূলক আস্তরণ তৈরি করে চুলকে রক্ষা করে। এটি প্রাকৃতিক দূষণ, ময়লা, ধুলোবালি ,তাপ এবং সূর্যের রশ্মি থেকে চুলকে রক্ষা করে। হেয়ার সিরামে অ্যামিনো এসিড থাকে যা চুলের স্বাস্থ্যকে রক্ষা করে।
হেয়ার সিরাম কেন ব্যবহার করব
চুলের যত্ন না নিলে স্বাভাবিকভাবেই চুল তার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য হারাবে। চুল হয়ে যাবে রুক্ষ, শুষ্ক এবং নিষ্প্রাণ। ফলে চুল পড়া শুরু হবে এবং স্কেল্পের খুশকির সমস্যা বাড়বে।
সুন্দর ,ঝলমলে ও ঘন চুল সবারই পছন্দের। কিন্তু চুল তার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য হারায় বিভিন্ন কারণে যেমন-বায়ু দূষণ ,চুলে রাসায়নিক প্রসাধনির অত্যাধিক ব্যবহার এবং চুলে অতিরিক্ত পরিমাণে স্ট্রেটার, হেয়ার ড্রায়ার ব্যবহারে চুলের প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা হারায় , চুল রুক্ষ ও শুষ্ক হয়ে যায়।
তাই চুলের যত্নে শ্যাম্পু, তেল , কন্ডিশনার এর পাশাপাশি যোগ করতে হবে হেয়ার সিরাম। কারণ শ্যাম্পু ,তেল, কন্ডিশনারের পাশাপাশি হেয়ার সিরাম ব্যবহার করলে চুলের সৌন্দর্য বজায় রাখা যায়।
নিষ্প্রাণ চুলে তাৎক্ষণিকভাবে উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে আনতে শ্যাম্পু করার পর অবশ্যই চুলে সিরাম লাগাতে হবে।
বিউটি ওয়ার্ল্ডে হেয়ার সিরাম এর জনপ্রিয়তা এবং ব্যবহার এখন অনেক।
হেয়ার সিরাম বিভিন্ন ফর্মে পাওয়া যায়
হেয়ার সিরাম তেলের আকারে পাওয়া যায় এবং এর ঘনত্ব তেলের তুলনায় আরো ডিপ। এছাড়াও শেক এন্ড স্প্রে ফর্মে এবং ক্রিম ফর্মে ও হেয়ার সিরাম পাওয়া যায় যা খুব সহজেই শুকনো চুলে স্প্রে করে এবং হালকা হাতে লাগিয়ে নিলে চুলে তাৎক্ষণিকভাবে উজ্জ্বলতা ও মসৃণতা ফিরিয়ে আনতে পারে।
চুলের নানা ধরনের সমস্যা আছে। প্রথমত আপনাকে বুঝতে হবে আপনি কোন সমস্যায় ভুগছেন এবং কি কারনে হেয়ার সিরাম আপনার প্রয়োজন। সেই অনুযায়ী উপাদান অনুসারে আপনার চুলের জন্য হেয়ার সিরাম নির্বাচন করতে হবে।
কি কি কারনে আপনি হেয়ার সিরাম ব্যবহার করবেন এবং আপনার চুলের প্রয়োজন বুঝে কি ধরনের সিরাম ব্যবহার করবেন সেই সম্পর্কে এখন আলোচনা করব। চলুন জেনে নেওয়া যাক।
ঘন ঘন স্ট্রেটার, হেয়ার ড্রায়ার ব্যবহার:
আপনি যদি ঘন ঘন স্ট্রেটার ,হেয়ার ড্রায়ার বা চুলের বিভিন্ন ধরনের স্টাইলিং করেন তাহলে আপনার উচিত ক্যারাটিন যুক্ত হেয়ার সিরাম ব্যবহার করা। কারণ ঘন ঘন স্ট্রেটার করার ফলে চুল রুক্ষ হয়ে যায় এবং চুলের গোড়া নরম হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এক্ষেত্রে কেরাটিন যুক্ত হেয়ার সিরাম ব্যবহারে আপনার চুল মজবুত হবে এবং চুল বিভিন্ন ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পাবে।
তৈলাক্ত চুলের ক্ষেত্রে:
যাদের চুল চিটচিটে এবং তেল দিতে পছন্দ করেন। এক্ষেত্রে আপনার হালকা হেয়ার সিরাম বেছে নেওয়া উচিত। ফলে আপনার চুল কে বেশি তৈলাক্ত মনে হবে না এবং সিরাম ব্যবহারে চুলের যত্ন হবে।
ঘন চুলের ক্ষেত্রে:
ঘন চুলের জন্য ক্রিম ভিত্তিক সিরাম ভালো কাজ করে। এটি চুলকে পুষ্টির যোগান দেয় এবং চুল তাৎক্ষণিকভাবেই মসৃণ ও উজ্জ্বল হয়।
চুল জট পাকানো রোধে:
অনেকের চুল গোসলের এবং শ্যাম্পুর পর জট পেকে যায়। কোঁকড়ানো চুলে এই সমস্যা সবচেয়ে বেশি দেখা যায়। তাই গোসলের পরে হালকা ভেজা চুলে হেয়ার সিরাম লাগিয়ে নিলে চুল জট মুক্ত থাকবে।
হেয়ার সিরাম ব্যবহারের নিয়ম:
১. প্রথমেই চুল শ্যাম্পু করে নিব।
২. তোয়ালে দিয়ে চুল হালকা ভাবে মুছে শুকনো করে নেব।
৩. হাতের তালুতে কয়েক ফোটা হেয়ার সিরাম নিয়ে দুই হাত দিয়ে ঘষে আলতো ভাবে চুলের উপরিভাগ থেকে গোরা পর্যন্ত মাসাজ করে নিব।
৪. ব্লো ড্রাই দিয়ে চুল শুকিয়ে নেব।
৫. চুল শুকিয়ে নেওয়ার পর চুল ভালোভাবে আঁচড়িয়ে হালকা একটু সিরাম চুলের গোড়ায় লাগিয়ে নিলে চুল হয়ে যাবে ঝরঝরে এবং শাইনি।
আরো পড়ুন, চুলের যত্নে অ্যালোভেরা জেলের উপকারিতা।
✌️✌️