ত্বকের যত্ন

পন্ডস এজ মিরাকেল নাইট ক্রিম এর ৬টি উপকারিতা।

Pond’s Age Miracle Night Cream

Pond’s Age Miracle Night Cream হল একটি জনপ্রিয় স্কিনকেয়ার পণ্য যা ত্বকের বার্ধক্য প্রতিরোধে খুবই কার্যকর । পন্ডস এজ মিরাকেল নাইট ক্রিম তিনগুণ রিনিউয়াল পাওয়ার সমৃদ্ধ। এই নাইট ক্রিম আপনার ত্বককে ভেতর থেকে সুন্দর করে তুলবে।

নতুন কোষ জন্মাতে সাহায্য করে‌ এবং বয়সের ছাপ বেশী পড়ে না। এছাড়াও ছয় রকমের বায়ো-অ্যাকটিভস ফর্মুলা এই ক্রিমকে বেস্ট নাইট ক্রিম করেছে।এই নাইট ক্রিমটি বিশেষ করে ত্বকের তারুণ্যতা বজায় রাখতে তৈরি করা হয়েছে। এটি রাতে ব্যবহার করা হয়, কারন এই সময়ে ত্বকে সবচেয়ে বেশি কার্যকর হয় এবং ত্বক পুনর্জীবিত হতে যথেষ্ট রেস্টিং টাইম পাওয়া যায়।

পন্ডস এজ মিরাকেল নাইট ক্রিম ব্যবহারের উপকারিতা

১.বার্ধক্যের লক্ষণ কমানো-
এতে রেটিনল-সি কমপ্লেক্স আছে, যা ত্বকের কোলাজেন উৎপাদন বাড়াতে সাহায্য করে, ফলে বলিরেখা ও ফাইন লাইন কমে যায়।

২. ত্বককে উজ্জ্বল করে –
পন্ডস এজ মিরাকেল নাইট ক্রিম ব্যবহারে ত্বকের কালচে ভাব ,ছোপ ছোপ দাগ, ব্রণের দাগ আস্তে আস্তে ফেইড হয়ে যায় এবং ত্বকে উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে।

৩. ত্বকের মেরামত-
রাতে ত্বকের পুনর্গঠন প্রক্রিয়া অন্যান্য সময়ের তুলনায় দ্বিগুণ এক্টিভ থাকে, আর এই ক্রিমটি সেই প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করে। আমাদের ক্ষতিগ্রস্ত ত্বকের কোষগুলোকে পুনরুজ্জীবিত করে।

৪. ত্বককে ময়েশ্চারাইজড রাখে-
পন্ডস এজ মিরাকেল নাইট ক্রিম ত্বককে সারারাত হাইড্রেটেড রাখে। ফলে ত্বক মসৃণ ও কোমল হয়।

৫.পিগমেন্টেশন ও কালো দাগ কমায়-
নিয়মিত ব্যবহারে বয়সজনিত দাগ ও অন্যান্য ছোপ ছোপ কালো দাগ, পিগমেন্টেশন এবং অসমান ত্বকের রঙ ধীরে ধীরে হালকা হয়ে যায়।

৬. ত্বককে টানটান রাখে-
এটি ত্বকের গভীরে প্রবেশ করে ত্বকের কোলাজেন প্রোডাকশন বৃদ্ধি করে এবং দৃঢ়তা ও ইলাস্টিসিটি বাড়িয়ে ত্বককে টানটান রাখে।

ব্যবহারের সময়সীমা

সাধারণত ২৫ বছর বা তার বেশি বয়সীদের জন্য উপযুক্ত। ব্যতিক্রম না হলে এটি ২৫-৩০ বছর বয়সের পর থেকে ব্যবহার শুরু করা যেতে পারে, তবে ত্বকের ধরন ও ব্যক্তিগত চাহিদা অনুযায়ী কিছু ক্ষেত্রে তাড়াতাড়ি ব্যবহার করাও যেতে পারে। বিশেষ করে, যাদের ত্বকে বার্ধক্যের প্রাথমিক লক্ষণ যেমন -ফাইন লাইনস, বলিরেখা, ত্বক কুচকে যাওয়া ইত্যাদি সমস্যা দেখা দিতে শুরু করেছে, তারা এটি ব্যবহার শুরু করতে পারেন।

পন্ডস এজ মিরাকেল নাইট ক্রিম এর কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ইনগ্রেডিয়েন্ট

Pond’s Age Miracle Youthful Glow Night Cream

রেটিনল-সি কমপ্লেক্স-
এটি দীর্ঘস্থায়ীভাবে ত্বকে রেটিনল সরবরাহ করে, যা ত্বকের কোষ সতেজ ও টানটান করতে সহায়তা করে এবং বলিরেখা ও ফাইন লাইনস কমায়।

ভিটামিন B3-
এটি ত্বকের ময়েশ্চার লক করতে সাহায্য করে, ত্বককে নরম ও মসৃণ রাখে এবং উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে।

গ্লিসারিন-
এটিএকটি শক্তিশালী ময়েশ্চারাইজার হিসেবে কাজ করে যা ত্বককে হাইড্রেটেড ও কোমল রাখে।

পেপটাইড-
এটি ত্বকের প্রোটিন পূর্ণগঠনে সাহায্য করে ত্বকের স্থিতিস্থাপকতা বজায় রাখে এবং ত্বককে টানটান রাখে। ফলে ত্বক আরও টানটান ও মসৃণ দেখায়।

AHA (Alpha Hydroxy Acids)-
এটি ত্বকের মৃত কোষ দূর করে ত্বকের টেক্সচার উন্নত করে, ত্বককে উজ্জ্বল ও মসৃণ রাখে।

ব্যবহারের নিয়ম

  • প্রথমে আপনার মুখটি ভালোভাবে একটি মাইল্ড ক্লিনজার দিয়ে পরিষ্কার করুন। এটি ত্বক থেকে ধুলো-ময়লা এবং অতিরিক্ত তেল দূর করবে, ফলে ক্রিমটি ভালোভাবে ত্বকে কাজ করতে পারবে।
  • একটি নরম তোয়ালে দিয়ে মুখ ভালোভাবে মুছে ফেলুন, তবে মুখ পুরোপুরি শুকিয়ে না যাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করবেন না। হালকা আর্দ্র ত্বকে ক্রিম ভালোভাবে শোষিত হয়।
  • তাই হালকা আদ্র থাকা অবস্থায় পন্ডস নাইট ক্রিমের একটি ছোট পরিমাণ (মটরদানার সমান) আঙুলের ডগায় নিয়ে ক্রিমটি মুখে ও গলায় বিন্দু বিন্দু করে লাগান এবং হালকা হাতে বৃত্তাকারে ম্যাসাজ করুন। বিশেষত কপাল, গাল, নাক, এবং গলার দিকে মনোযোগ দিন।
  • চোখের চারপাশে সরাসরি লাগানো থেকে এড়িয়ে চলুন।
  • ক্রিমটি রাতভর আপনার ত্বকে কাজ করবে, তাই এটি মুখে লাগিয়ে রেখে ঘুমান। সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর আপনার ত্বকে আরও সতেজ ও মসৃণ অনুভূতি পাবেন।

নিয়মিত ব্যবহার করলে কয়েক সপ্তাহের মধ্যে ত্বকের টেক্সচার উন্নত, ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি এবং ত্বকের স্থিতিস্থাপকতার পার্থক্য নিজেই বুঝতে পারবেন।

পন্ডস এজ মিরাকেল নাইট ক্রিম ব্যবহারে কিছু সতর্কতা

Pond's Age Miracle Youthful Glow Night Cream 50gm, SKU:8999999059941
Pond’s Age Miracle Youthful Glow Night Cream

১. এলার্জি পরীক্ষা বা প্যাচ টেস্ট-
প্রথমবার ব্যবহার করার আগে অ্যালার্জি বা ত্বকে কোনো প্রতিক্রিয়া দেখা যাবে কিনা তা পরীক্ষা করতে – আপনার হাতের পেছনে সামান্য ক্রিম প্রয়োগ করে ২৪ ঘণ্টা অপেক্ষা করুন। যদি প্রয়োগ করা অংশে লালচে ভাব, চুলকানি বা জ্বালা অনুভূত হয়, তাহলে এটি ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন।

২.চোখের সংস্পর্শ এড়িয়ে চলুন-
এই ক্রিমটি চোখের আশেপাশে সরাসরি ব্যবহার থেকে এড়িয়ে চলুন, কারণ এতে রেটিনল ও অন্যান্য সক্রিয় উপাদান রয়েছে যা চোখে জ্বালাপোড়া সৃষ্টি করতে পারে।

৩.সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন-
এই ক্রিমে রেটিনল এবং AHA থাকার কারণে ত্বক সূর্যের আলোতে বেশি সংবেদনশীল হয়ে যেতে পারে। তাই সকালে সানস্ক্রিন ব্যবহার করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, যাতে ত্বক ক্ষতিগ্রস্ত না হয়।

৪.অতিরিক্ত ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন-
অতিরিক্ত পরিমাণে ব্যবহার করলে ত্বকে শুষ্কতা বা জ্বালাপোড়া হতে পারে। তাই প্রতিরাতে ত্বকে ছোট পরিমাণে এই ক্রিম ব্যবহার করাই যথেষ্ট।

৫.গর্ভাবস্থা ও স্তন্যদানকালে সতর্কতা-
গর্ভাবস্থায় বা স্তন্যদানকালে রেটিনলযুক্ত পণ্য ব্যবহার করার আগে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত, কারণ রেটিনল কিছু ক্ষেত্রে বাচ্চার জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।

৬.ধীরে ধীরে ব্যবহার শুরু করুন-
রেটিনল বা এ ধরনের পণ্য ব্যবহারে যদি কোন অভিজ্ঞতা না‌ থাকে, তাহলে প্রথমে সপ্তাহে ২-৩ বার ব্যবহার শুরু করতে পারেন, পরে ত্বকে অভ্যস্ত হয়ে গেলে প্রতিদিন ব্যবহার করতে পারবেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *