জনসন বেবি সোপ এর উপকারিতা ও ব্যবহারের সঠিক নিয়ম।
ঘর আলো করে যখন একটি নতুন প্রাণ আসে, এই অবস্থায় পরিবারে যেন আনন্দের বন্যা বয়ে যায়। শিশুর যত্নে তখন কোন কমতি থাকে না। বিশেষ করে শিশুর বাবা- মা বেশ চিন্তিত থাকেন, শিশুর যত্নে কোন প্রকারের প্রোডাক্ট ব্যবহার করবেন এই বিষয়ে।
আজকে আমরা আলোচনা করব জনসন বেবি মিল্ক সোপ ও শিশুর যত্নে এর উপকারিতা সম্পর্কে ।
শিশুর ত্বক বড়দের তুলনায় অনেক কোমল ও স্পর্শকাতর হয়ে থাকে। তাই শিশুর ত্বকে দরকার বাড়তি যত্ন। শিশুর ত্বক যেহেতু কোমল ও স্পর্শকাতর তাই অবশ্যই বুঝে শুনে ভালো মানের প্রোডাক্ট শিশুর ত্বকে ব্যবহার করা উচিত।
জনসন বেবি সোপ এর উপকারিতা:
মিল্ক প্রোটিন: এই সাবানে রয়েছে দুধের প্রোটিন এবং ভিটামিন A ও E ফর্মুলা। যা শিশুর ত্বককে পুষ্টি জোগায় এবং ত্বকের স্বাস্থ্য ভালো রাখে।
ত্বক মশ্চারাইজড রাখে: এই সোপে থাকা দুধের প্রোটিন এবং ময়েশ্চারাইজিং উপাদান ত্বককে শুষ্ক ও রুক্ষ হওয়া থেকে রক্ষা করে এবং ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রেখে ত্বককে ময়শ্চারাইজড করে।
ত্বককে কোমল ও নরম রাখে: এটি ত্বককে মসৃণ ও কোমল রাখে, যা শিশুর সংবেদনশীল ত্বকের জন্য আদর্শ।
ত্বককে সুরক্ষিত রাখে: এই সাবানে শিশুদের জন্য সেইফ ইনগ্রেডিয়েন্ট ব্যবহার করা হয়েছে ফলে সাবানের উপাদানগুলো শিশুর ত্বকের প্রাকৃতিক সুরক্ষা বজায় রাখতে সহায়তা করে।
এলার্জি ও সংবেদনশীলতা নেই: এই সোপে সাধারণত অ্যালার্জি বা ত্বকের ক্ষতি করে এমন ইনগ্ৰেডিয়েন্ট ব্যবহৃত হয়নি না, তাই সংবেদনশীল ত্বকে জনসন বেবি মিল্ক সোপ ব্যবহার নিরাপদ।
মৃদু ও সতেজ সুগন্ধ: এই সোপে থাকা মৃদু সুগন্ধ শিশুর ত্বকে সতেজতা আনে এবং শিশুকে আরামদায়ক বোধ করায়। যা শিশুর ত্বকে একটি স্বাস্থ্যকর অনুভূতি প্রদান করে।
নবজাতক শিশুর ডে-১: সাবানটি শিশুর ত্বককে কোমল, আর্দ্র, এবং পুষ্ট রাখতে কার্যকর।সদ্য ভূমিষ্ঠ হওয়া নবজাতক শিশুর ডে-১ থেকে জনসন বেবি মিল্ক সোপ শিশুর জন্য ব্যবহার উপযোগী।
No more tears ফর্মুলায় তৈরি: No more tears ফর্মুলা হচ্ছে এমন একটি ফর্মুলা যা পরিমিত পরিমাণে চোখে গেলে চোখ জ্বলে না এবং চোখ থেকে পানি পড়ে না। জনসন বেবি মিল্ক সোপ লেদারলি ফেনা তৈরি হয় এবং এটি ত্বককে মৃদুভাবে পরিষ্কার করে।
ক্ষতিকর উপাদান মুক্ত: জনসন বেবি মিল্ক সোপ ক্লিনিক্যালি টেস্টে অনুমোদিত যে, জনসন বেবি মিল্ক সোপে ক্ষতিকর উপাদান যেমন -প্যারাবেন নেই। তাই জনসন বেবি সোপ শিশুর চোখে গেলেও চোখ জ্বালাপোড়া করবে না বা শিশুর কোন প্রকার ক্ষতি হবে না। তাই ডাক্তাররা জনসন বেবি মিল্ক সোপ শিশুর ত্বকে ব্যবহারের পরামর্শ দিয়ে থাকেন।
জনসন বেবি সোপের উপাদানগুলো:
- Sodium Palmate- ত্বক পরিষ্কার করতে সাহায্য করে।
- Sodium Palm Kernelate- সাবান তৈরিতে ব্যবহৃত হয় এবং এটি ত্বক পরিষ্কার করে।
- Water (Aqua)- ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখার জন্য কাজ করে।
- Glycerin- ত্বককে ময়েশ্চারাইজড করতে সহায়তা করে এবং ড্রাইনেস দূর করে।
- Mineral Oil – ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখে।
- Milk Protein- এতে আছে দুধের প্রোটিন, যা ত্বকে পুষ্টি জোগায়।
- Fragrance- মৃদু সুগন্ধ প্রদান করে। যা শিশুকে স্বাস্থ্যকর অনুভূতি প্রদান করে।
- Titanium Dioxide- সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি থেকে শিশুর ত্বককে কিছুটা সুরক্ষা দেয়।
- Tetra sodium EDTA- পানি শোধনকারী এজেন্ট হিসেবে কাজ করে এবং সাবানটিকে স্থিতিশীল রাখে।
- TetraSodium etidronate- সাবানের গুণগত মান বজায় রাখে এবং এটি ভেঙে যেতে বাধা দেয়।
শিশুর জন্মের পর থেকেই জনসন বেবি মিল্ক সোপ শিশুর ত্বকে ব্যবহার করা যায়। এটি শিশুর সংবেদনশীল ত্বকের জন্য বিশেষ প্রক্রিয়ায় তৈরি করা হয়েছে।
জনসন বেবি মিল্ক সোপ একটি আমেরিকান ভিত্তিক কোম্পানি জনসন এন্ড জনসন কোম্পানির একটি পন্য। বাচ্চাদের নরম এবং সংবেদনশীল ত্বকের কথা মাথায় রেখে সাবানটি তৈরি করা হয়েছে। এই সাবানের কোমলতা ও মৃদুতা ক্লিনিক্যালি প্রমাণিত। তাই এটি ব্যবহারে শিশুর ত্বকে কোন প্রকার ক্ষতির আশঙ্কা থাকে না।
জনসন বেবি সোপ ব্যবহারের নিয়ম?
- প্রথমে ত্বক ভিজিয়ে নিন- সাবানটি ব্যবহারের আগে শিশুর ত্বক হালকা গরম পানি দিয়ে ভিজিয়ে নিন।
- সাবান প্রয়োগ করুন – সাবানটি হাত বা স্পঞ্জে নিয়ে শিশুর ত্বকে আলতোভাবে মালিশ করুন। বিশেষত শুষ্ক অংশগুলোতে সাবান ব্যবহার করুন।
- ফেনা তৈরি করুন- সাবানটি হাতে বা স্পঞ্জে নিয়ে ভালোভাবে ফেনা তৈরি করে ত্বকের ময়লা ও ধুলো পরিষ্কার করুন।
- পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন – ত্বক ভালোভাবে পরিষ্কার করার পর পানি দিয়ে সাবানের ফেনা ধুয়ে ফেলুন।
- শিশুকে শুকিয়ে নিন – নরম তোয়ালে দিয়ে শিশুর শরীর আলতোভাবে মুছে নিন।
ময়েশ্চারাইজার প্রয়োগ করুন – শিশুর ত্বক আরও কোমল রাখতে চাইলে, গোসলের পরে বেবি লোশন বা ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে পারেন।
সর্তকতা
১.জনসন বেবি মিল্ক সোপ শুধুমাত্র বাহ্যিক ব্যবহারের জন্য। দেহের ভেতরের কোন অংশে ব্যবহার করবেন না।
২. এটি চোখের কোন ক্ষতি করে না তবুও চেষ্টা করবেন সাবান যেন চোখে না যায়।
৩. শিশুর শরীরের সাবান মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহার করবেন না। প্রয়োজন অনুসারে পরিমিত ব্যবহার করবেন।
৪. সাবানটি ব্যবহারের পর শুষ্ক স্থানে রাখুন।
৫. প্রত্যেক শিশুর ত্বক একরকম হয় না। তাই শিশুর ত্বকে এটি ব্যবহারের পর যদি রেস,জ্বালাপোড়া বা এলার্জিজনিত সমস্যা দেখা দেয় তবে এই পণ্যটি ব্যবহার বন্ধ রাখুন এবং চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।