মেকআপ

কনসিলার ব্যবহারের সঠিক নিয়ম জানেন তো?

how to use canceler

মানুষের ব্যক্তিত্ব তার চরিত্রের ওপর নির্ভর করে কিন্তু পরিচয পর্বে সবার প্রথমে নজর আসে তার ফেইসের দিকে। তাই সবাই পরিপাটি বা যতটা সম্ভব নিজেকে নিখুত রাখতে পছন্দ করে।

এক্ষেত্রে যদি আপনার ত্বকে থাকে ব্রণ, ছোপ ছোপ দাগ, চোখের নিচে ডার্ক সার্কেল তাহলে ফ্লোলেস, ফুল কভারেজ মেকআপে কনসিলার লাগবেই।

কনসিলার আপনার ত্বকের ব্রণের দাগ ,কালো দাগ , বলি রেখা,চোখের নিচের ডার্ক সার্কেল হাইড করবে, অসমান রং সামঞ্জস্য করবে এবং আপনি পাবেন ক্লিন , দাগহীন ও ন্যাচারাল মসৃণ লুক। কনসিলার এর স্ট্রেকচার ফাউন্ডেশনের থেকে একটু ভারী ও ঘন।

শুধু ভারী মেকআপে নয়, নিত্যদিনের হালকা মেকআপে ও কনসিলার ব্যবহার করতে পারেন। ব্রণের দাগ, কালো দাগ, ডার্ক সার্কেল হাইড করা এবং অসমান রং ঠিক করার পাশাপাশি লিপস্টিক লং লাস্টিং করতে, নাক কনটোরিং করতে, চোখের আইশ্যাডো ভালোভাবে বসাতে কনসিলার ব্যবহার হয়।

আপনার মেকআপ হোক ভারী কিংবা হালকা, আপনার মেকআপ কে নিখুঁত করতে কনসিলার এর জুড়ি নেই। আমরা অনেকেই এত গুণের অধিকারী কনসিলারের ব্যবহার জানি না অথবা কোন ধরনের কনসিলার কেন ব্যবহার করব সে সম্পর্কে ধারণা নেই।

আজকে আমরা জানবো কনসিলার সম্পর্কে। চলুন জেনে নেওয়া যাক-

কনসিলার কি?

কনসিলার হলো একটি মেকআপ প্রোডাক্ট যা আপনার বেইজ মেকআপকে নিখুঁত ও মসৃণ করে।
ত্বকে ব্যাবহৃত অন্যান্য প্রডাক্ট যেমন ত্বকের ধরন বুঝে ব্যবহার করতে হয় ঠিক তেমনি কনসিলারের ক্ষেত্রেও ভিন্নতা রয়েছে। তাই ত্বকের ধরণ অনুযায়ী জানতে হবে কোন কনসিলার কখন ব্যবহার করতে হয় ।

বাজারে দুই ধরনের কনসিলার পাওয়া যায়।

  • ত্বকের অসমান রং সামঞ্জস্য রাখতে কালার কারেক্টিং কনসিলার ব্যবহার করা হয়। এক্ষেত্রে কালার কারেক্টিং কনসিলার- সবুজ, কমলা লাল, লেভেন্ডার, পিচ, ইয়েলো ইত্যাদি কালারে পাওয়া যায়।
  • ব্রণের কালো দাগ, ডার্ক সার্কেল , ছোপ ছোপ দাগ হাইড করতে ব্যবহার করা হয়।

কনসিলার কেন ব্যবহার করব?

আপনার বেস মেকআপ কে নিখুঁত, মসৃণ ও ন্যাচারাল লুক ক্রিয়েট করতে কনসিলার ব্যবহার করা হয়। এছাড়াও ব্রনের দাগ, কালো দাগ, ডার্ক সার্কেল কভার করতে , ত্বকের অসমান রঙ সামঞ্জস্য রাখতে এবং চোখের মেকআপে কাঙ্খিত লুক ক্রিয়েট করতে , লিপস্টিক লং লাস্টিং রাখতে ও নাক কন্টোরিং করার জন্য কনসিলার ব্যবহার করা হয়।

কনসিলার ব্যবহারের ফলে আপনার মেকআপ বেইজে একটি আলাদা ভাইব আসবে।

ত্বকের সাথে মানানসই কনসিলার নির্বাচন করা-

ফাউন্ডেশন নির্বাচনের ক্ষেত্রে যেমন ত্বকের সাথে মানানসই শেড নির্বাচন করতে হয়। ঠিক তেমনি কনসিলার এর ক্ষেত্রেও শেড অনুযায়ী নির্বাচন করতে হয়। সেক্ষেত্রে আপনার ত্বকের থেকে দুই গুণ হালকা শেডের কনসিলার নির্বাচন করতে হবে ।
নিয়মিত মেকআপের ক্ষেত্রে হালকা কভারেজ মেকআপ বেইজের জন্য হালকা টেক্সচারের কনসিলার বাছাই করতে হবে। ভারী বা ফুল কভারেজ মেকাপের জন্য লাইট ওয়েটের ভারী কনসেন্টেন্ট কনসিলার বাছাই করুন।

কনসিলার কখন এবং কিভাবে ব্যবহার করবেন –

Conceler Makeup Uses

ত্বক ক্লিন করা:

প্রথমেই ক্লিনজার দিয়ে ত্বক ভালোমতো পরিষ্কার করে নিন। এবার ভালো মানের প্রাইমার কিংবা মশ্চারাইজার মুখে আলতো ভাবে লাগিয়ে নিন। এবার ফাউন্ডেশন অ্যাপ্লাই করে ব্লেন্ড করে নিন। এরপর ত্বকের ডার্ক এরিয়া গুলোতে কনসিলার লাগিয়ে নিন।

কনসিলার ফাউন্ডেশন অ্যাপ্লাই করার আগে এবং পরে উভয়ই সময়ই ব্যবহার করা যায়। তবে ফাউন্ডেশন অ্যাপ্লাই করার পরে কনসিলার ব্যবহার করলে কনসিলার ভালোভাবে ব্লেন্ড হয়।

নাকের চারপাশে লাল ভাব দূর করতে:

নাকের চারপাশে লাল ভাব বা কালচে দাগ থাকলে প্রাইমার এপ্লাই করার পর কনসিলার লাগিয়ে নিন।

চোখের ডার্ক সার্কেল কভার করতে:

চোখের নিচে ডার্ক সার্কেল কভার করতে আই এরিয়াতে ত্রিভুজ আকৃতিতে কালার কারেক্টিং কনসিলার এপ্লাই করুন। এক্ষেত্রে আপনি সবুজ ,কমলা বা পিচ রঙের কালার কারেক্টিং কনসিলার ব্যবহার করতে পারেন।

ব্রন বা কালো দাগ হাইড করতে:

ব্রণ বা কালো দাগ কভার করতে পিচ কালার অথবা আপনার ‌‌ ত্বকের রঙের সাথে মানানসই কনসিলার দিয়ে ব্রাশের সাহায্যে ব্রণের উপর বা কালো দাগের উপর লাগিয়ে নিন। এবার স্পঞ্জ দিয়ে ব্লেন্ড করে নিন।

কনসিলার এপ্লাই করার পর কনসিলার সেটআপ করুন:

কনসিলার সেটআপ করতে হালকা লুজ পাউডার বা ফেস পাউডার স্পঞ্জে নিয়ে আলতো ভাবে ব্লেন্ড করুন। এছাড়াও কম্প্যাক্ট পাউডার দিয়ে ও কনসিলার সেটাপ করতে পারেন।

One thought on “কনসিলার ব্যবহারের সঠিক নিয়ম জানেন তো?

  1. Raj Robin says:

    Well Teach ❣️

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *