মেকআপ

আইলাইনার কি? আইলাইনার ব্যবহারে সতর্কতা ও টিপস।

Cautions and tips on using eyeliner

আইলাইনার হল একটি কসমেটিক প্রোডাক্ট যা চোখের সাজে ব্যবহার করা হয়।

বাইরে বের হওয়ার সময় মেকআপ করার সময় না থাকলে চোখে হালকা আইলাইনার লাগিয়ে নিলে আপনার লুকটা হবে সুন্দর। কথায় আছে ,চোখ যে মনের কথা বলে।

মেকআপ হালকা কিংবা ভারী হোক আইলাইনার ব্যবহারে আপনার লুক হবে আকর্ষণীয়। টানা টানা চোখ দেখতে সবারই ভালো লাগে। সৌন্দর্য মন্ডিত চোখের সাজে আইলাইনারের জুড়ি নেই।

বর্তমানে অনেক রকমের আইলাইনার পাওয়া যায়। এর মধ্যে মূলত আইলাইনার মূলত তিনটি ফর্মে পাওয়া যায় – পেন্সিল, তরল এবং জেল আকারে।

এছাড়াও আরো অনেক রকমের ফর্মে আইলাইনার পাওয়া যায়। চলুন জেনে নেওয়া যাক, আইলাইনার এর রকমভেদ এবং এর ব্যবহার বিধি সম্পর্কে।

১. পেন্সিল আইলাইনার:

পেন্সিল আইলাইনার মূলত স্মুকি আই লুক ক্রিয়েট করার জন্য ব্যবহার করা হয়। কারণ এটি সহজেই স্মাজ করা যায়।
পেন্সিল আইলাইনার সাধারণত চোখের উপরিভাগের অংশে এবং নিচের অংশে ব্যবহার করা হয়। পেন্সিল আইলাইনারের বিভিন্ন শেড বাজারে পাওয়া যায়। এটা ব্যবহার করা খুবই সহজ।

২. জেল আইলাইনার:

জেল আইলাইনার বর্তমানে অনেক জনপ্রিয় একটি মেকআপ প্রডাক্ট। মেকআপ আর্টিস্ট থেকে শুরু করে প্রায় সবারই পছন্দের তালিকার প্রথম অপশন হচ্ছে জেল আইলাইনার। জেল আইলাইনারের স্ট্রাকচার ক্রিমি এবং অনেক থিক হয়ে থাকে। জেল আইলাইনার ব্রাশের সাহায্যে খুব সহজে চোখে ব্যবহার করা যায়।জেল আইলাইনার অনেক লং লাস্টিং হয় এবং সহজে এটা ছড়িয়ে যায় না। জেল আইলাইনার কালো ,বাদামী এবং সাদা শেডে পাওয়া যায়।

৩. লিকুইড আইলাইনার:

লিকুইড আইলানারের সাথে আমরা ছোট বড় সবাই পরিচিত। এই আইলাইনার ছোট ছোট কোটা বা পটে পাওয়া যায়। এর স্ট্রাকচার তরল। লিকুইড আইলাইনার বিভিন্ন শেড এর পাওয়া যায়। আইলাইনার দিতে যাদের হাত কাঁপে তারা লিকুইড আইলাইনার ব্যবহারে বিড়ম্বনায় পড়ে। তাই যারা প্রফেশনালি বা আইলাইনার দিতে অভ্যস্ত তারা খুব সহজেই লিকুইড আইলাইনার ব্যবহার করতে পারবেন।

৪. পেন আইলাইনার:

নাম শুনেই বুঝতে পারছেন হয়তো, জি হ্যাঁ, পেন আইলানার দেখতে পেন বা কলমের মতই। এটা ব্যবহার করা খুবই সহজ। পেন আইলাইনার লিকুইড টাইপের হয়। খুব তাড়াতাড়ি শুকিয়ে যায়। যাদের আইলাইনার দিতে হাত কাঁপে তাদের জন্য পেন আইলানার একটি বেস্ট অপশন।

৫. গ্লিটার আইলাইনার:

চোখের মেকআপ কে আরো গর্জিয়াস এবং আকর্ষণীয় করে তুলতে গ্লিটার আইলাইনার ব্যবহার করা হয়। বিভিন্ন শেডে গ্লিটার আইলাইনার পাওয়া যায়। এটার স্ট্রাকচার লিকুইড।

আইলাইনার ব্যবহারে কিছু সতর্কতা এবং গুরুত্বপূর্ণ টিপস :

জেল আইলাইনার অনেক লং লাস্টিং হয়। এটা উঠানো অনেক কষ্টকর হয়ে যায়। তাই এটি উঠানোর সময়
বেশি জোরে জোরে ঘষবেন না, এতে চোখ লাল হয়ে যেতে পারে। জেল আইলানার উঠানোর জন্য আই মেকাপ রিমুভার ব্যবহার করবেন।

Eyeliner

লিকুইড ,পেন এবং পেন্সিল আইলাইনার দিতে গিয়ে অনেক সময় হাত লেগে আইলাইনার ছড়িয়ে যায়। এক্ষেত্রে ঘষাঘষি করে আইলাইনার তোলার চেষ্টা করবেন না এতে আপনার আইলাইনার আরো বেশি ছড়িয়ে যাবে। এক্ষেত্রে কনসিলার দিয়ে ছড়িয়ে যাওয়া অংশটুকু কভারেজ করে নিবেন।

যারা জেল আইলাইনার ব্যবহার করি সেক্ষেত্রে দীর্ঘ সময় জেল আইলাইনার ব্যবহার না করলে তা পটের ভিতর শুকিয়ে যায়। এক্ষেত্রে কিছুক্ষণ সূর্যের আলোতে অথবা হেয়ার ড্রায়ার এভেলেবল থাকলে পটের মুখে গরম বাতাসে কিছুক্ষণ রাখুন। দেখবেন আইলাইনার আগের মত ক্রিমি হয়ে গেছে।

One thought on “আইলাইনার কি? আইলাইনার ব্যবহারে সতর্কতা ও টিপস।

  1. Raj Robin says:

    ✌️✌️

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *