জনসন বেবি লোশন এর ৭টি উপকারিতা।
জনসন বেবি লোশন সাধারণত শিশুর ত্বকের জন্য ব্যবহৃত হয় এবং এর বিভিন্ন উপকারিতা রয়েছে। জনসন বেবি লোশন ব্যবহারে ২৪ ঘন্টা পর্যন্ত শিশুর ত্বকে পুষ্টি জোগায় , শিশুর ত্বককে হাইড্রেটেট রাখে এবং শিশুর ত্বককে সারাদিন নরম ও কোমল রাখতে সাহায্য করে।
এই প্রোডাক্টে রয়েছে দ্রুত শোষণকারী ফর্মুলা সমৃদ্ধ ইমোলিয়েন্ট যা শিশুর ত্বককে প্রাকৃতিক ভাবে কোমল রাখে এবং ত্বককে মশ্চারাইজড রাখতে সাহায্য করে।
শিশুর মধ্যে স্বভাবতই নাক ঘষা ,কনুই ঘষা, হাটু ঘষা ইত্যাদি এক্টিভিটি দেখা যায়। এই এক্টিভিটির ফলে ত্বক খসখসে এবং ড্রাই হয়ে যায়। জনসন বেবি লোশন ব্যবহারে শিশুর ত্বক নরম এবং কোমল হবে।
১.ত্বককে ২৪ ঘন্টা ময়েশ্চারাইজড রাখে – এটি ত্বককে ময়েশ্চারাইজ করে এবং শুষ্ক ত্বককে নরম ও মসৃণ রাখে। এটি শিশুর ত্বককে ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত কোমল, মসৃণ ও হাইড্রেটেট রাখে।
২.হালকা এবং নরম – শিশুদের সংবেদনশীল ত্বকের জন্য এটি মানানসই কারণ এই প্রোডাক্টের স্ট্রাকচার মলিকিউল হালকা এবং নরম প্রকৃতির।
৩.হাইপোঅ্যালার্জেনিক – এটি সাধারণত অ্যালার্জি সৃষ্টি করে না। এতে আছে ১০০% সেইভ ইনগ্রেডিয়েন্ট যা শিশুদের জন্য ক্ষতিকর নয়।
৪.নিরাপদ – সাধারণভাবে এটি শিশুদের ত্বকের জন্য নিরাপদ, এটা অফিসিয়ালি ক্লিনিক্যালি এবং ডার্মাটোলজিস্ট দ্বারা টেস্ট করা ।এই প্রোডাক্টে শিশুদের জন্য হার্মফুল কোন কেমিক্যাল ব্যবহৃত হয়নি।
৫.সুবাস – এতে একটি মৃদু সুবাস থাকে যা শিশুর ত্বকে সুগন্ধি যোগ করে এবং স্বাস্থ্যকর অনুভুতি প্রদান করে।
৬. পিএইচ ব্যালেন্সড – এটি ক্লিনিকেলি এবং ডার্মাটোলজিস্ট দ্বারা টেস্টেট যা শিশুর ত্বকের যত্নে মৃদু ।
৭. প্যারাবেন মুক্ত – এই প্রোডাক্টে প্যারাবেন এবং সালফেট এর মত ক্ষতিকর উপাদান যোগ করা হয়নি।
ইনগ্রেডিয়েন্ট –
পানি – এটি প্রোডাক্টের বেস উপাদান হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
মিনারেল ওয়েল – এটি ত্বককে ময়েশ্চারাইজড করার জন্য ব্যবহৃত হয়।
গ্লিসারিন – এটি ত্বককে নরম এবং মসৃণ রাখে।
Stearic Acid – এটি ত্বককে সুরক্ষিত রাখে এবং ময়েশ্চারাইজড করে।
Cetyl Alcohol – ত্বককে নরম রাখতে সহায়তা করে।
Glyceryl Stearate – এটি ত্বকে ময়েশ্চারাইজিং এজেন্ট হিসেবে কাজ করে।
Coco glyceride – এটি প্রাকৃতিক উৎস থেকে প্রাপ্ত তেল যা ত্বকের পুষ্টি জোগায়।
Dimethicone – ত্বককে মসৃণ করতে সহায়তা করে।
Phenoxyethanol – প্রিজারভেটিভ হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
Carbomer – লোশনের ঘনত্ব বাড়ায়।
Sodium Hydroxide – ত্বকের pH ব্যালেন্স করতে ব্যবহৃত হয়।
Fragrance (Parfum) – লোশনের সুগন্ধির জন্য ব্যবহৃত হয়।
Ethylhexylglycerin – ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখার জন্য সাহায্য করে।
Tocopheryl Acetate (Vitamin E) – ত্বকের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে।
আইসোপ্রোপাইল পমিটেড, পলিসরবেট ২০, ম্যাগনেসিয়াম অ্যালুমিন্যাম অ্যালুমিনিয়াম ক্রেশল, বেনজিল এসিটেট, বাইসাইক্ল নোনাল্যাকটন, ডিপ্লোপিলিন গ্লাইকন মেফ্রসল, পি এ্যনেসিক এসিড, জ্যানথাম গাম, টাইটানিয়াম ডাই-অক্সাইড, ইথিলহেক্সিল গ্লিসারিন।
এই উপাদানগুলো ত্বককে নরম, মসৃণ ও আর্দ্র রাখতে সাহায্য করে, যা বাচ্চাদের সংবেদনশীল ত্বকের জন্য নিরাপদ।
ব্যবহারবিধি-
- শিশুর গোসলের পর শিশুর ত্বক তোয়ালে দিয়ে ভালোভাবে মুছে নিন, এরপর ত্বক শুষ্ক থাকাকালীন অবস্থায় লোশন ব্যবহার করুন।
- শিশুর পুরো শরীরে লোশন ব্যবহারের পর উপভোগ করুন নরম, সুরক্ষিত ও স্বাস্থ্যকর অনুভূতি।