পন্ডস ব্রাইট বিউটি স্পটলেস গ্লো ফেইস ওয়াশ এর ৭টি উপকারিতা।
নিত্যদিনের রোদ, ধুলোবালি আমাদের ত্বককে নিস্তেজ ও নির্জীব করে তোলে। এই রেগুলার রোদ এবং ধুলোবালিতে আমাদের ত্বকের উজ্জ্বলতা হারিয়ে যায় এবং ত্বক নিস্তেজ হয়ে যায়।পন্ডস ব্রাইট বিউটি স্পটলেস গ্লো ফেইস ওয়াশ প্রতিদিন আপনার ত্বকের সর্বোচ্চ উজ্জ্বলতা পুনরুদ্ধার করে ত্বককে আরো বেশি উজ্জ্বল করে।
ব্যবহারে কি কি বেনিফিট পাবেন?
ত্বক উজ্জ্বল করবে: পন্ডস ব্রাইট বিউটি স্পটলেস গ্লো ফেইস ওয়াশে আছে ভিটামিন বি৩(নায়াসিনামাইড) ,ফর্মুলা যা ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে সাহায্য করে।
দাগ হালকা করে: নিয়মিত ব্যবহারে ত্বকের কালো দাগ, ব্রণের দাগ বা অন্য যেকোনো স্পট হালকা হতে শুরু করে।
অয়েল এবং ময়লা দূর করে: ত্বকের গভীর থেকে ময়লা, ধুলোবালি এবং অতিরিক্ত তেল দূর করে ত্বককে সতেজ রাখে।
ত্বক মসৃণ রাখে : এটি ত্বককে নরম ও মসৃণ রাখতে সহায়তা করে, যার ফলে ত্বক আরও কোমল ও নমনীয় হয়।
ক্লগ হওয়া পোরস খুলে দেয়: পন্ডস ব্রাইট বিউটি স্পটলেস গ্লো ফেইস ওয়াশটি ব্যবহারে ত্বকের ক্লগ হওয়া পোরস ওপেন করে, ফলে ফোর্সে থাকা ময়লা ত্বকের গভীর থেকে পরিষ্কার হয় , যা ব্রণের সমস্যা কমাতে সহায়ক।
ত্বকের স্বাস্থ্য রক্ষা: নিয়মিত ব্যবহারের মাধ্যমে ত্বক সুস্থ ও পরিষ্কার থাকে।
মাইল্ড ফর্মুলায় তৈরি: পন্ডস ব্রাইট বিউটি স্পটলেস গ্লো ফেইস ওয়াশের ph ব্যালেন্স মৃদু হওয়ায় এটি রেগুলার ব্যবহার করা যায়।
পন্ডস ব্রাইট বিউটি স্পটলেস গ্লো ফেইস ওয়াশ নিয়মিত ব্যবহারে আপনার ত্বকে উজ্জ্বলতা ও স্পটলেস গ্লো ফুটে উঠবে।এটি আমাদের ত্বকের ভেতরের ডেড সেলস রিমুভ করে ত্বককে ভেতর থেকে স্পটলেস ও গ্লোয়িং উজ্জ্বলতা পুনরুদ্ধার করে।
উপাদান
- ভিটামিন বি৩ (নায়াসিনামাইড): ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে এবং দাগ হালকা করতে সাহায্য করে।
- গ্লিসারিন: এটি ত্বককে ময়েশ্চারাইজড করে। ফলে ত্বক আরো বেশি নরম ও মসৃণ হয়।
- মাইল্ড সার্ফ্যাক্টেন্টস: এটি ত্বকের গভীরে থাকা ময়লা এবং তেল দূর করে ত্বককে পরিষ্কার রাখে।
- গ্লুটাথায়োন: এটি এন্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে যা ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায় এবং কালচে ভাব দূর করে ত্বককে স্পটলেস গ্লো দেয়।
- ওয়াটার: ত্বককে হাইড্রেটেড রাখতে সাহায্য করে।
পন্ডস ব্রাইট বিউটি স্পটলেস গ্লো ফেইস ওয়াশ সঠিকভাবে ব্যবহার করার জন্য কিছু সাধারণ নিয়ম অনুসরণ করা উচিত, যা আপনার ত্বকে সর্বোচ্চ বেনিফিট পেতে সাহায্য করবে। চলুন জেনে নেওয়া যাক,
ব্যবহারের নিয়ম
প্রথমে ত্বককে সামান্য পানি দিয়ে ভিজিয়ে নিন।
এবার হাতে ছোট পরিমাণে (মটর দানার পরিমাণে ) ফেইস ওয়াশ নিন।হাতের তালুতে ফেইস ওয়াশটি ঘষে ফেনা তৈরি করুন। এরপর মুখে আলতোভাবে গোলাকারভাবে মালিশ করুন নাক, কপাল এবং চিবুকের অংশে ।৩০-৪৫ সেকেন্ডের মতো মালিশ করার পর মুখ ভালোভাবে পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
এখন নরম তোয়ালে দিয়ে মুখ ধীরে ধীরে মুছে ফেলুন। এরপর ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখতে ত্বকের জন্য উপযোগী ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন।
ব্যবহারের সময়
- দিনে ২ বার, সকালে এবং রাতে, ব্যবহার করা উত্তম।
- অতিরিক্ত ব্যবহার ত্বকের শুষ্কতা বাড়াতে পারে, তাই নিয়মিত ব্যবহারে সতর্ক থাকা উচিত।
এভাবে নিয়মিত ব্যবহার করলে ত্বক পরিষ্কার, উজ্জ্বল এবং দাগহীন হবে।
পন্ডস ব্রাইট বিউটি স্পটলেস গ্লো ফেইস ওয়াশ সাধারণত ত্বকের জন্য উপকারী। কারণ এটি ব্যবহারে ত্বকের ডেড সেলস রিমুভ হয় , যেকোনো প্রকারের দাগ কমাতে সাহায্য করে,ত্বক ভেতর থেকে উজ্জ্বল ও গ্লোয়িং হয়।
তবে এটি ব্যবহারে ত্বকে কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হতে পারে। এখন আমরা জানবো,পন্ডস ব্রাইট বিউটি স্পটলেস গ্লো ফেইস ওয়াশ ব্যবহারের কিছু সতর্কতা সম্পর্কে।
সর্তকতা
যাদের ত্বক বেশি সংবেদনশীল সেক্ষেত্রে যেকোনো পণ্য ব্যবহারের পূর্বে প্যাঁচ টেস্ট করে বুঝে নিবেন যে এই পণ্যটি আপনার জন্য সহনীয় কিনা ।
- শুষ্ক ত্বকে ব্যবহারের ফলে ত্বক আরো বেশি শুষ্ক করে ফেলতে পারে, বিশেষ করে যাদের ত্বক স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি শুষ্ক।
- যদি আপনার ত্বক সংবেদনশীল হয়, তাহলে ফেইস ওয়াশে থাকা কিছু উপাদান যেমন সুগন্ধি বা রাসায়নিক উপাদান ত্বকে জ্বালা, লালচে ভাব বা ফুসকুড়ি সৃষ্টি করতে পারে।
- দিনে একাধিকবার ফেইস ওয়াশ ব্যবহারের ফলে ত্বকের প্রাকৃতিক তেল রিমুভ হয়ে যায় ।যা ত্বকে শুষ্কতা এবং অস্বস্তি সৃষ্টি করতে পারে।
- কিছু ক্ষেত্রে ফেইস ওয়াশে থাকা রাসায়নিক উপাদানগুলো ত্বকের পোরস বন্ধ করে দেয়, যা ত্বকে ব্রণ সৃষ্টি করতে পারে।
•চোখের সংস্পর্শে আসলে জ্বালা বা অস্বস্তি হতে পারে। তাই এটি ব্যবহার করার সময় সতর্ক থাকতে হবে।